মুফতি আমির হামজা জীবনী : তার আসল নাম আমির হামজা । জনগণের কাছে পরিচিত নাম হাফেজ মাওলানা আমির হামজা । তিনি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সাংস্কৃতিক রাজধানী খুলনা বিভাগের কুষ্টিয়া জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার জাতীয়তা বাংলাদেশি।
হাফেজ মাওলানা আমির হামজার দাম্পত্য ও পারিবারিক জীবনঃ
মুফতি আমির হামজা জীবনী : তিনি একাধারে একজন হাফেয, একজন মুফতি ও একজন মুফাসসির। অত্যন্ত নম্র ভদ্র ও মুচকি হাসি স্বভাবের মানুষ তিনি। তার পারিবারিক জিবনে তিনি তার দুই কন্যাকে তিনি সবচেয়ে বেশি স্নেহ করেন।
হাফেজ মাওলানা আমির হামজার শিক্ষা জীবনঃ
মুফতি আমির হামজা জীবনী : তিনি নিজ এলাকা থেকে প্রাথমিক শিক্ষা অর্জন করেন । স্থানীয় স্বনামধন্য হাফিজিয়া মাদ্রাসা থেকে কুরআনের “হাফেজ” হন। স্থানীয় স্বনামধন্য কাওমি মাদ্রাসা থেকে “ইফতা’’ সম্পন্ন করেন এবং “মুফতি” হন । এরপর সুযোগ অর্জন করেন বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ ইসলামী বিদ্যাপীঠ নামে খ্যাত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, যেটি বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলায় অবস্থিত। সেখানে তিনি “আল-কুরআন” বিষয়ের উপর অনার্স ও মাস্টার্স সমাপ্ত করেন। লেখাপড়ার শেষ প্রান্তে ইসলামের দাওয়াতি কাজ শুরু করেন।
বর্তমান বাংলাদেশের অন্যতম ইসলামিক আলোচক তিনি। বাল্যকাল থেকেই অনেক মেধাবী। তাকে অনেক মানুষ “বাংলাদেশের জাকির নায়েক” বলে আখ্যায়িত করে থাকেন। কারন তিনি তার বক্তব্যে কুরআন ও হাদিসের রেফারেন্স দিয়ে থাকেন। ইসলামিক আলোচক হিসেবে তার এ সুনাম সারা বিশ্ব জুড়ে। বাংলাদেশের বাইরে যুক্তরাষ্ট্র , সৌদি আরব, ভারতসহ আরও মুসলিম ও অমুসলিম রাষ্ট্রে তিনি দাওয়াতি কাজ করেন।
আল্লাহর রহমতে অনেক অমুসলিম ভাই-বোন ও তাদের পরিবার তার হাতে ইসলাম গ্রহণ করেছেন। তিনি এক আল্লাহ ছাড়া আর কাউকে ভয় করেন না, কোন ব্যক্তিকে ভয় করে কথাও বলেন না। বাংলাদেশের অনেক ইসলাম বিদ্বেষী মানুষদের নিয়ে তিনি সরাসরি সমালোচনা ও কঠোর হুশিয়ারি দিয়েছেন।
তিনি কুষ্টিয়ার আঞ্চলিক ভাষায় কথা বললেও তার কথাগুলো শ্রুতিমধুর। তার বক্তব্যের সময় তিনি হাস্যরসের মাধ্যমে শ্রোতাদের প্রফুল্ল করে থাকেন। তিনি খুব সাহসী মানুষ ও জনপ্রিয় আলোচক। দেশের অন্যতম ইসলামিক ব্যাক্তিত্য হওয়া সত্ত্বেও তার ভিতরে কোন অহংকার নেই। সুন্দর পন্থায় আলোচনার মাধ্যমে শ্রোতাদের কুরআনের কথা বুঝিয়ে থাকেন। তার মুফতি আমির হামজার সাথে মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারি এর অত্যন্ত ভাল সম্পর্ক রয়েছে।
মুফতি আমির হামজা জীবনী : তার মাসিক আয় সম্পর্কে কোন সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি । তবে তিনি কুরআনের মাহফিল থেকে যেটুকু হাদিয়া পান তা দিয়ে তার জীবন অতিবাহিত করেন।